স্বামী স্ত্রীকে যাকাত দিতে পারবে কি ?

হোম
0

 স্বামী স্ত্রীকে যাকাত দিতে পারবে কি ?

1. একটি মুসলিম পরিবার সোফায় বসে, হাতে একটি ট্যাবলেট নিয়ে আলোচনা করছে।   2. মুসলিম পরিবারের সদস্যরা সোফায় বসে, ট্যাবলেটের মাধ্যমে যাকাত নিয়ে আলোচনা করছেন।   3. সোফায় বসা মুসলিম পরিবার, ট্যাবলেটের মাধ্যমে যাকাতের বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে।


স্ত্রীর ভারন পোষণের দায়িত্ব স্বামীর উপর। যদিও স্ত্রী গরীব হয়। স্ত্রীকে যাকাত দিতে পারবেন না। কারন মহান আল্লাহ তার ভারন-পোষণের দায়িত্ব আপনার উপর দিয়েছে। 

স্ত্রীর অধিকার কি জানেন ? জানলে অবাক হবেন। যা অধিকাংশ মানুষ জানে না। 

সাদ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন ’তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় যা-ই খরচ কর না কেন, তোমাকে তার সওয়াব অবশ্যই দেওয়া হবে। এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যা তুলে দাও, তারও।
সহীহ বুখারী অধ্যায়ঃ ২/ ঈমান  হাদিস নম্বরঃ ৫৪।

………আর তোমরা তাদের সাথে সৎভাবে জীবন যাপন করবে; তোমরা যদি তাদেরকে অপছন্দ কর তবে এমন হতে পারে যে, আল্লাহ যাতে প্রভূত কল্যাণ রেখেছেন তোমরা তাকেই অপছন্দ করছ(
সূরা-নিসা আয়াত নাম্বার নম্বর  ১৯ ।
এটা স্ত্রীর সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন করতে বলার এমন নির্দেশ, যার প্রতি অতি তাকীদ করা হয়েছে এবং হাদীসসমূহেও এই বিষয়টাকে বড়ই গুরুত্বের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। একটি হাদীসে আয়াতের এই অর্থটাকে ঠিক এইভাবে তুলে ধরা হয়েছে যে
কোন মুমিন পুরুষ যেন কোন মুমিন নারীকে ঘৃণা না করে। তার কোন একটি অভ্যাস তার কাছে খারাপ লাগলেও অপরটি ভাল লাগবে। (মুসলিম ১৪৬৯নং) অর্থাৎ, অশ্লীলতা ও অবাধ্যতা ব্যতীত অন্য কোন এমন দোষ যদি স্ত্রীর মধ্যে থাকে, যে দোষের কারণে স্বামী তাকে অপছন্দ করে, তাহলে সে যেন তাড়াহুড়া করে তাকে তালাক না দেয়, বরং সে যেন ধৈর্য ও সহ্যের পথ অবলম্বন করে। হতে পারে এতে মহান আল্লাহ তার জন্য অজস্র কল্যাণ দান করবেন। অর্থাৎ, সৎ সন্তানাদি দান করবেন কিংবা তার কারণে আল্লাহ তাআলা তার ব্যবসা বা কাজে বরকত দান করা সহ আরো অনেক কিছু দেবেন। অনুতাপের বিষয় যে, কুরআন ও হাদীসের এই নির্দেশনার বিপরীত পথ অবলম্বন করে মুসলিমরা আজ সামান্য ও তুচ্ছ কারণের ভিত্তিতে স্ত্রীদেরকে তালাক দিয়ে দেয় এবং এইভাবে তারা ইসলামের দেওয়া তালাকের অধিকারকে বড়ই অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে। অথচ এই অধিকার দেওয়া হয়েছে কেবল নিরুপায় অবস্থায় ব্যবহার করার জন্য; সংসারের বিনাশ, মহিলাদের উপর যুলুম এবং সন্তানদের জীবন বিনষ্ট করার জন্য নয়। এ ছাড়া এতে ইসলামের বদনামও হয়। বলা হয় যে, ইসলাম পুরুষদেরকে তালাকের অধিকার দিয়ে নারীদের উপর যুলুম করার এখতিয়ার দিয়েছে। এইভাবে ইসলামের একটি অতি সুন্দর বৈশিষ্ট্যকে অন্যায় ও যুলুম বিবেচিত করানো হয়।

এটিও পড়ুন, ভালো লাগবেঃ- 

Post a Comment

0Comments

Please Select Embedded Mode To show the Comment System.*